শহর প্রতিনিধিঃ পাবনায় মহিলা অধিদপ্তর এর হস্তক্ষেপে ও মহিলা অধিদপ্তর এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পাবনা সদর থানাধীন কুঠিপাড়া আহমাদুল্লাহ বেলাল এর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বগুড়া জেলার ননীপাড়া গ্রামের নার্গিস আক্তারের, তারই জেরে নার্গিস আক্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসে বেলালের বাসায়। এতে ছেলের পরিবার কি করবে ভেবে না পেয়ে ছেলের মন রক্ষা করতে প্রতিবেশীর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করেন, গোপন সংসবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মহিলা অধিদপ্তর পাবনা জেলা শাখার অঙ্গসংগঠনের নেতারা বেলালের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়, এবং বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বাঁধা প্রদান করে। এবং মেয়ের অভিভাবকদের কাছে ফোন করলে মেয়ের মা বলেন আপনারা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন ওই মেয়েকে আমি ঘরে তুললে সমাজে মুখ দেখাতে পারবোনা। তখন নারী নেত্রীরা বোঝান যে বাল্য বিবাহ আইনবহির্ভূত কাজ, আপনি না মানলে আমাদের আইনের আশ্রয় নিতে হবে, তখন মেয়ে পক্ষ বলেন আমরা পাবনা এসে কথা বলবো আপনারা অপেক্ষা করুন বলে ফোন কেটে দেন, এদিকে নারী নেত্রীরা দীর্ঘরাত পর্যন্ত বগামিয়ার বাড়িতেই অপেক্ষা করতে থাকেন, রাত তিনটার সময় মেয়ের বাসা থেকে ১৭ জন সদস্য আসেন এসেই রাগান্বিত কন্ঠে বলেন, আমরা বিয়ে দিতে আসছি মেয়ে নিতে আসিনি। তখন স্হানীয় লোকজন ও নারী নেত্রীরা বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে বলেন এবং বলেন মেয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলের বয়স ২১ এর আগে বিয়ে দেওয়া আইনত দন্দনীয় অপরাধ এখানে ছেলে এবং মেয়ে দুইজনই নাবালকএবং দীর্ঘ সময় কথা বলার পর ভোর পাঁচটার সময় মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে রাজী হয় এবং ছেলে মেয়ে আর কোন যোগাযোগ করবেনা বলে অঙ্গীকার করেন। সারে আটটার দিকে মেয়েকে নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মহিলা অধিদপ্তর এর হস্তক্ষেপ এ বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে পেরে খুশি হন, এ বিষয়ে নেত্রীরা বলেন আমরা বাল্য বিয়ে সহ সামাজিক অপরাধ দমনে আমরা সোচ্চার, আজ এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পেরে আনন্দিত, আমরা সবসময় এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় আছি। এ সময় উপস্হিত ছিলেন আলোর পথের মহিলা উন্নয়ন এর সভানেত্রী মুর্শিদা খাতুন, কিসমত প্রতাপ পুরের দুঃস্হ মহিলা সমিতির সভানেত্রী রাশিদা খাতুন, হেমায়েতপুর আদর্শ নারী প্রগতি সমিতির সভানেত্রী রাশেদা আলী, নাজির পর মহিলা উন্নয়ন সংস্হার সভানেত্রী নাজিরা পারভীন, বনফুল মহিলা কল্যান সমিতির সভানেত্রী মহাসিনা সেতু, দারিদ্র্য বিমোচন মহিলা উন্নয়ন সংস্হার সভানেত্রী সষুমা রাণী, সাধনা মহিলা সংস্হার সভানেত্রী শ্যামলী সাহা, বর্ণীল মহিলা সংস্হার সভানেত্রী রাজিয়া সুলতানা ও সমাজ কর্মী মামুন, মানু, ও নাছিম সহ স্হানীয় নেতাবর্গ। এ বিষয় এ পাবনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন বাল্য বিয়ে একটি জঘন্যতম অপরাধ, এ বিয়ে বন্ধ হওয়ায় মহিলা অধিদপ্তর ও অঙ্গসংগঠনের নেত্রীবর্গকে ধন্যবাদ জানান।
Leave a Reply