পাবনা প্রতিনিধিঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সহকারী ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করতে হয় তাই করবেন, এবং এই সতের বছরে যত বিচার বহির্ভূত হত্যা গুরম লুন্ঠন হয়েছে তার বিচার করবে।তিনি বলেন আওয়ামী লীগ দেশকে একটি নরকে পরিনত করেছে গত সতের বছরে গুম হত্যা লুট পাচার এর সর্বোচ্চ অরাজকতা করেছেন এরা সন্ত্রাসী সংগঠন, এদের প্রতিহত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে স্বৈরাচারী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে দাঁড়াতে আমরা বদ্ধপরির আছেন।
আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার বেলা ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতেপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এসময় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
সভায় আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা দেশ নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় সবই করবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজু, স্বেচ্ছাসেবক দল পাবনা জেলা শাখার এক নং যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে সাগর, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম ও সুজন হোসেন। জেলা ছাত্রদল এর সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্স প্রমুখ।
তারেক রহমান পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের সময় পাবনায় নিহত শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার এবং শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম। তারা তাদের সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার দাবি করেন।
Leave a Reply