পাবনা জেলা প্রতিনিধি
ধর্ম যার যার উৎসব সবার। একেবারে ঘরেই ঢুকে গেল হিন্দুধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।এই উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হলেও মণ্ডপে মণ্ডপে সকল ধর্মের মানুষেরাই উৎসবে মেতে উঠবেন।
৯ অক্টোবর থেকে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় ৩২৮টি মন্ডবে শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপন হবে। পাবনা জেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে সদর উপজেলায় ৫০টি, আটঘরিয়ায় ১৬টি, ঈশ্বরদী ৩২টি, চাটমোহরে ৫১টি, ভাঙ্গুড়ায় ২০টি, ফরিদপুরে ১৩টি, সাঁথিয়ায় ৪১টি, বেড়ায় ৫২টি ও সুজানগর উপজেলার ৫১টি মন্ডপে দুর্গা পূজা উদযাপিত হবে। এবার পুজা উদযাপনে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসবের আমেজ। মার্কেট গুলোতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেনাকাটার ধুম দেখা যাচ্ছে।
পাবনা সদর উপজেলার অধ্যাপক কোমল চন্দ্র দাস জানান, এবার পরিবেশ তুলনামুলকভাবে ভালো হওয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। পাবনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদল ঘোষ জানিয়েছেন, আমাদের পুরজার অনুষ্টান সন্ধ্যা থেকে অনুষ্ঠিত হবে এসময় নিরাপত্তাসহ নিরবিচ্ছিন্নবিদুৎ সরবরাহ করতে হবে। ভক্তরা প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সে ব্যাপারে মন্দির কমিটি এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন। ০৯ অক্টোবর দেবীর বোধন ও ১৩ অক্টোবর বিসজর্নের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পুজা উৎযাপনের লক্ষে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকেই সচেষ্ট হতে হবে। পাবনার পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খাঁন জানান, পুজা নির্বিঘ্ন করা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপদ ও নিরাপত্তার সঙ্গে পূজা উদযাপনের জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, পুলিশ হেল্প লাইন বা ৯৯৯ ফোন করার আহবান জানান পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খাঁন।
পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম জানান, পুজা উৎযাপন সুষ্টু সন্দরভাবে করার জন্য মিটিং এবং কমিটি করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডুপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তীথি অনুযায়ী আজ ৯ অক্টোবর দেবীর আমন্ত্রণ ও আসনে অধিবাসের মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজা শুরু হবে। এরপর ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনে মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের শারদীয় এই উৎসব।
Leave a Reply