টাইমস ডেক্স : পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কার্ড বণ্টন করা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বীরু মোল্লা, বিএনপি কর্মী মিলন বিশ্বাস, রাজিব মোল্লা, রাব্বি মোল্লা, জামায়াত কর্মী হাসান, মো. তোফায়েল, মো. একরাম ও ফিরোজ ফকির।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা আলোচনা সাপেক্ষে লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে টিসিবির কার্ড বরাদ্দের উদ্যোগ নেন। বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি নেতা বিরু মোল্লা ও জামায়াত নেতা আকরাম আলী এ নিয়ে আলোচনার সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জামায়াত নেতা আকরাম আলী বাড়ির দিকে রওনা হলে রাস্তায় বাধা দেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেখানে গুলিবষর্ণের ঘটনা ঘটে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হয়নি। গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা বলেন, আকরাম হোসেন এতদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। এখন জামায়াতে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছেন। জামায়াতের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তবে জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন বলেন, আমি ২০১৮ সাল থেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা বলে অপমানজনক কথাবার্তা বলে স্থানীয় বিএনপিরা। লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের টিসিবির কার্ড নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আমাদের আগেই কথাবার্তা হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু বুধবার বিএনপির এক নেতা বলেন, জামায়াত নেতাদের কথায় কাউকে কোনো কার্ড দেওয়া হবে না। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তারা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের চারজন কর্মী আহত হয়েছে।
লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব (প্রশাসনিক কর্মকর্তা) মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে আমি দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। পরে গ্রামের মধ্যে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ জমা দেয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna