বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাবনা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড ঢাকা রোড দক্ষিন রাঘবপুর জামে মসজিদের পাশেই দক্ষিন রামচন্দ্রপুর “বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ রাশু” বাইলেন সড়কটি প্রবেশদ্বার থেকে ইছামতি নদীর উপর দিয়ে (যেটা এখন খালে পরিণত হয়েছে)ভিতরে যাওয়া এক দেড়শো ফুট রাস্তা খুবই বেহাল দশা।
রাস্তাটি পৌর এলাকার মধ্যে হলেও যোগাযোগের অনুপযোগী। ১৯৯৬ সালে রাস্তাটি পাকা হয়। তারপর থেকে বছরের পর বছর ধরে কাত হওয়া নষ্ট আরসিসি ঢালাই রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় রড বেরিয়ে উঁচু হয়ে আছে যেটাতে পথচারী অনেকেই হাঁটার সময় খোঁচা খেয়ে আহত হচ্ছেন। সড়কের পাশে ড্রেনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে বর্জ্য নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একটি সাইবোর্ড থাকলেও তাতে লেখা রাস্তার নাম মুছে গেছে।
রাস্তার প্রবেশদ্বার কোবাদের তেল পাম্পের সামনে একটু চওড়া থাকলেও ভেতরের দিকে একদম শরু। শেষ মাথা পর্যন্ত হাজারেরও বেশি বাসিন্দা রয়েছে। এখানে কোনোমতে রিক্সা-ভ্যান ঢুকলেও গর্ভবতী কোন মহিলাকে অথবা কোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে পায়ে হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার কোন উপায় নাই। অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকার পাবার মতো গাড়ি যাতায়াতেরও কোনো উপায় নেই। কেউ মারা গেলে খাটিয়ে আনা নেয়ার জায়গাটাও চোখে পড়েনা। বিদ্যুতের তার গুলোও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঝুলে আছে। অনেকে দুর্ঘটনা রোধে নিজ বাড়ির দেয়ালে লোহার অ্যাঙ্গেলে স্ক্রু মেরে তার উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার দিয়ে রাস্তা থেকে নিরাপদ উচুতে রেখেছেন। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় চলাচল করলে যে কোন সময় যে কারো প্রাণ যেতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কার কাজ করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা দুর্বল। পৌরসভায় আবর্জনার কোনো ভাগার নেই। ময়লা অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি বা জনবলও নেই। তাই যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়।
পৌর প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব) শরীফ আহম্মেদ বলেন রাস্তাটা যে শরু এবং ভাঙ্গা এ বিষয়টি আমরা অবগত হলাম। স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে শুরু করে পৌরসভায় ইঞ্জিনিয়াররা আছেন তাদের সাথে আমরা কথা বলে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করব।
Leave a Reply