মোঃ আলাল উদ্দিন, পাবনা জেলা প্রতিনিধি- পর্ব -১
পাবনা জেলায় একটানা ২০ বছর চাকরিতে রয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচলক (বীপ্র) মোঃ মুহিবুর রহমান। এতে অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারী ও চাষিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এক জেলায় দেড় যুগের বেশি চাকরি করার সুবাধে বিএডিসি অফিস বানিয়ে নেন নিজের বাড়ি।
তার সম্পর্কে জানা যায়,পাবনায় তার প্রথম চাকরি ৩১-০৮-২০০৪ সালে শুরু হয় ডাল ও তৈল বীজ উৎপাদন কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স জোন টেবুনিয়া সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাবে। অফিসটিতে বিএডিসি' র চুক্তিবদ্ধ চাষিদের মাধ্যমে ডাল ও তৈল জাতীয় বীজ উৎপাদন করা হয়। যে পরিমাণ শ্রমিক অনুমোদন আসতো তার থেকে অনেক কম পরিমাণ শ্রমিক দিয়ে কাজ করে বাকি শ্রমিকের টাকা আত্নসাৎ করায় অভিযোগ উঠেছে। তার আপন ছোট ভাইকে দিয়ে প্রথম থেকেই বিএডিসি' তে ব্যবসা শুরু করেন।
পরবর্তীতে পাশে বিএডিসি উপপরিচালক (খামার) এর কার্যলয়, টেবুনিয়া বীজ উৎপাদন খামারে যাওয়ার পর সেখানোও শুরু করেন বিভিন্ন অনিয়ম। পাবনা সদর থানায় বিএডিসি মোট ৯ টি অফিস রয়েছে, টেবুনিয়াতে ৬ টি শহরে ৩ টি।
পরবর্তিতে ডিএসব ঘটনা যখন চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়ানো শুরু করে তখন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ এই দুর্নিতীবাজ, চরিত্রহীন, অসৎ অফিসার কে এমন একটি গুরুত্বপূর্ন দপ্তর থেকে বদলি করেন উপপরিচালক বীজ বিপনণ এর দপ্তর পাবনায়। যার অফিস ছিল পাবনা শহরের চাদাখার বাঁশতলা নামক জায়গায়- দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠিক সামনে। কিন্তু দুদকের নাকের ডগা দিয়ে প্রায় ১-২ কোটি টাকা অফিসটি থেকে হাতিয়ে নেন এই দুর্নীতিবাজ অফিসার। ডিলার নিয়োগ দিয়ে প্রতি ডিলারের কাছ থেকে নেন ২-৩ লক্ষ টাকা,
এর মধ্যে বাইপাস রোডে রামানন্দপুর বিএডিসির এগ্রো সার্ভিস সেন্টারের অফিস। কিছুদিনের জন্য অফিসটির উপপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পান তিনি।
বিএডিসির পুরো নিয়ন্ত্রন ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna