টাইমস ডেস্কঃ
চাল উৎপাদনকারী জেলা কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে নতুন করে চালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা। এ নিয়ে মিলগেটে গত এক মাসে তিন দফা চালের দাম বাড়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশেষ করে সরু জাতের চালের দাম বেশি বেড়েছে। মিলগেট থেকে সরু চাল এখন কেনা পড়ছে ৭৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। সপ্তাহ খানেক আগে এ চাল বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৭৩ টাকা। বর্তমানে বাজারে খুচরা প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮১ টাকা।
খাজানগরের কয়েকজন মিল মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ধানের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া সরু জাতের ধানের সংকট আছে। এসব কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। তাদের ধারণা, সামনে সরু চালের দাম আরও বাড়বে।
মোকাম ঘুরে জানা গেছে, গত এক মাসে তিন দফায় দাম বেড়েছে চালের। ভরা আমন মৌসুমে চালের এমন দাম বাড়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক। বিষয়টি রীতিমতো সবাইকে ভাবাচ্ছে। একাধিক মিলগেটের এক মাসের দাম যাচাই করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সরু চালের দাম। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে প্রতি কেজির দাম ছিল ৭২ টাকা। মাসের মাঝামাঝি সেটা ৭৫ টাকা দাঁড়ায়। সর্বশেষ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে।
কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানালেন, ২৫ কেজির এক বস্তা সরু চাল আগের তুলনায় প্রায় ২০০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। খুচরা ক্রেতাদের কাছে তারা প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে মানভেদে সরু চাল কোথাও কোথাও আরও বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে। আবার একাধিক জাতের ধানের মিশ্রণ ঘটিয়ে উৎপাদিত সরু চাল প্রতি কেজি ৮০ টাকার নিচেও বিক্রি করছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী।
বর্তমানে ধানের দাম আকাশছোঁয়া বলে জানিয়ে খাজানগরের চালকল মালিক দাদা রাইসের কর্ণধার আরশাদ আলী বলেন, তারা এখন সরু জাতের ভালো মানের প্রতিমণ ধান কিনছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ টাকায়। এ ধান থেকে তৈরি চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমন মৌসুমে সাধারণত মোটা জাতের ধান বেশি হয়। তাই বোরো মৌসুমের সরু জাতের ধান যেসব কৃষকের ঘরে আছে, তারা বেশি দাম ছাড়া বিক্রি করছেন না। এসব কারণে চালের দাম বাড়াতে হচ্ছে। মিল মালিকরা কম দামে কিনতে পারলে ভোক্তারাও কম দামে চাল পাবে।
চালকল মালিকদের মজুতদারি ও সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগ প্রসঙ্গে আরশাদ আলী বলেন, অটো মিল চালাতে প্রচুর ধানের প্রয়োজন হয়। এ কারণে মিল মালিকরা ১৫ দিনের ধান মজুত রাখেন। খাদ্য অফিসে নিয়মিত মজুতের পরিমাণ জানিয়ে হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে হয়। মিল মালিকদের বাড়তি ধান মজুত করার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ থেকে চাল আমদানির পাশাপাশি সরকারিভাবে খোলা বাজারে কম দামে চাল বিক্রির আওতা বাড়ালে বাজারে দাম কমে আসবে বলে মনে করেন এই মিল মালিক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna