বিশেষ প্রতিনিধি: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ফাহাদুল ইসলাম পাভেল নামে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বন বিভাগের গাছ কেটে সরকারি জায়গায় হোটেল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধা দেওয়ায় বন প্রহরীকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটানোর হুমকি দেয় ওই যুবদল নেতা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়ার সাগরিয়া রেঞ্জের রহমত বাজার ক্যাম্পের ভুক্তভোগী বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান। এর আগে, গত শনিবার ১১ জানুয়ারি অভিযুক্ত যুবদল নেতা তার দোকানে ডেকে নিয়ে ওই বন প্রহরীকে হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। জুলাই বিপ্লবের পর হঠাৎ নেতা বনে যাওয়া এই পাভেল এলাকায় যেন ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে চরম বিব্রত স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
বন প্রহরী মো. মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ জানুয়ারি পাভেল নামের এই যুবদল নেতা দিনেদুপুরে নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের চর আলিমবিট সাগরিয়া রেঞ্জের ১৪ থেকে ১৫টি গাওয়া গাছ কেটে নিয়ে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত বাজার সংলগ্ন গোলতলা পর্যটন স্পটে হোটেল নির্মাণ করে। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমি তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলতে পারছিলাম না। তাই বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করার কারণে যুবদল নেতা পাভেল আমাকে তার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত বাজার ফার্মেসিতে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে আমাকে বলে আমি যদি সরকারি চাকরি করতে চাই তাহলে যেন তার বিষয়ে চুপ থাকি। নাহলে সে চুপ থাকলে, আমাকে শেল্টার না দিলে লোকজন আমাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটা
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা ফাহাদুল ইসলাম পাভেল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমি কোনো গাছ কাটেনি এবং কোনো হোটেলও দেয়নি। বন প্রহরী হাসান যদি সরেজমিনে এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তাহলে আপনারা যে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করার দাবি করেন তিনি।
উপকূলীয় বনবিভাগের সাগরিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অবগত হওয়ার পরই ৮-৯টি গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কয়েকটি গাছ ওই যুবদল নেতার নির্মিত ঘরে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply