পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়া তিন ফসলি কৃষি জমির বুক চিরে ছুটছে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর। সামান্য অদূরেই চলছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঝ খান থেকে অত্যাধুনিক ভেকু মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ।লক্ষ্য ফসলি জমি থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করা ও পুকুর খননের কাজ সে মাটি পরিবহনে ব্যস্ত অসংখ্য ট্রাক্টরের শ্রমিক। যে জমিতে তিন ফসল উৎপাদন হতে, সে জমিতে এখন বিশাল আকারের র্গত ও ডুবাই পরিনত হচ্ছে।
এভাবেই আটঘরিয়া উপজেলার তিন ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটার ও ভরাটের কাজে। এতে করে ওই জমিগুলো যেমন উর্বরতা হারাচ্ছে, তেমনি ধ্বংস হচ্ছে এসব ফসলি জমি।
উপজেলা প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সকল সেক্টরকে ম্যানেজ করেই চলছে মাটি সিন্ডিকেট । এতে সচেতন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন, এভাবে মাটি কেটে নিলে ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি কমে গিয়ে ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিবে। আবাদ যোগ্য জমি কমতে,
উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নে অন্তত ২০ পয়েন্টে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এই উপজেলায়
আইন লঙ্ঘনকারী মাটি ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় দাপটের সঙ্গে চলছে মাটি কাটার এই কর্মযজ্ঞ।
প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটি ভর্তি ট্রাক্টরগুলো ফসলি জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করে চলাচল করছে। এতে ধুলাবালুতে দুই পাশের জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কিছু বলতেও পারছে না নিরীহ কৃষকেরা। আবার কেউ কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েও পাচ্ছে না প্রতিকার।
এক শ্রেণীর কৃষকরা মাটি ব্যবসায়িদের লোভে পড়ে প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) মাটি পাঁচ’শ থেকে ছয়’শ টাকায় বিক্রয় করছেন। যে কারণে ওইসব জমিতে না হচ্ছে ধান ও না হচ্ছে মাছের চাষ। জমি গুলো দেখে মনে হচ্ছে এ যেন উম্মুক্ত জলাশয়। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে আবাদি কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করায় দিন দিন কমে যাচ্ছে তিন ফসলী জমি। অন্য দিকে উর্বর শক্তি কমে গিয়ে ফসল উৎপাদনে হ্রাস পাচ্ছে।
মাটি কাটা সিন্ডিকেটের সদস্য
খালেক, কুরমান,মমিন মেম্বার, গোলাম মোস্তফা, রাজিব,
বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় নেতা সব সেক্টর ম্যানেজ করে আমরা মাটির ব্যবসা করতেছি
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম দৈনিক প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, মাটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply