প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ৯:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২৫, ১:১০ পি.এম
প্রায় চার মাস শিশু তামিমের কোন সন্ধান নাই প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত বাবা মা

( ফলোআপ)
রবিউল রনিঃ প্রায় চার মাস হয়ে গেছে কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি শিশু তামিমের। সন্তানের সন্ধানে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সন্তান হারা বাবা মা ।
এদিকে যাদেরকে সন্দেহ করে মামলা করেছে তামিমের পরিবার চারজন আসামির মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যান্য আসামিরা এখনো আত্মগোপনে আছে বলে জানায় তামিমের বাবা। এলাকায় অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি থাকার কারণে তারা বিভিন্নভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তামিমের বাবা। একে তো সন্তান হারানোর শোক অপর দিকে প্রতিপক্ষ থেকে নানা ধরনের চাপ আর হুমকি পেয়ে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে তারা। পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত মাজাট গ্রামের সাগর এর ছেলে তামিম (১২) বিগত প্রায় চার মাস আগে অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ দুপুরের পরে থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এর পরে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও কোনরকম সন্ধান পাওয়া যায়নি ছেলেটির। নিকট আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নদীর তীরে অবস্থিত গ্রামে গ্রামে খোঁজ করেও কোন লাভ হয়নি।
কেউ কোন সন্ধান দিতে পারে নি শিশু তামিমের। তামিমের বাবা সাগর জানায় সেদিন শনিবার দুপুরে নদীর পাড়ে শেষ বারের মত দেখা হয় তামিমের সাথে এর পরে সে কাজে চলে যায়। সন্ধ্যায় এসে তাঁকে না পেয়ে খোঁজ খবর নিতে থাকে।
কিন্তু কেউ তার কোন সন্ধান দিতে পারে নি। পরের দিন নদীর পাড়ে তার সেন্ডেল পাওয়া যায় এই সুত্রে শিশু টিকে কেউ নদীতে মেরে ফেলে দিয়েছে কি না এরকম সন্দেহ করছে তার পরিবার।
এছাড়াও আরো অনেক রকম অনিষ্ট হবার নানা ধরনের বিষয়ে আশঙ্কায় রয়েছে তামিমের পরিবার।সম্ভাব্য সব নিকট আত্মীয় স্বজনের কাছে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তেমন কোন ক্লু এ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে আমরা পারি নাই। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে আমরা সর্বসময় খোঁজ-খবর রাখছি।
এ ব্যাপারে গত তিন মাস আগে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তামিমের বাবা সাগর ও সাগরের স্ত্রী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেও এ পর্যন্ত তেমন কোন আশানুরূপ ফলাফল লাভ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসনাত জামান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। একজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জাহিদ জানায় মামলাটি পিবিআই এর মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। কেউ জানে না এই শিশুটির ভাগ্যে কি ঘটেছে যা কিছুই ঘটুক যদি বেঁচে থাকে তাহলে অতিসত্বর সে যেন তার মায়ের কাছে ফিরে আসুক আর যদি মরেও যায় যেন তার অন্তিম কর্ম তার বাবা মা করতে পারে এই আশায় প্রতিনিয়ত চোখের জল ফেলছে তামিমের বাবা সাগর মা তাসলিমা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna