বিশেষ প্রতিবেদকঃলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপরে হামলার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমদিকে আটক হন আকাশ কৈলাশ কানোজিয়া নামের এক যুবক। তখনই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে সংবাদমাধ্যমে তার আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই একে একে দু:সংবাদ পেতে থাকেন ওই যুবক। ঘটনার জের ধরে তিনি চাকরি হারিয়েছেন, বিয়েও ভেঙে গেছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।আকাশ কৈলাশ বলেন, আটকের পর যখন পুলিশ ছেড়ে দেয় তখন মায়ের সঙ্গে কথা বললে- অবিলম্বে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। কেননা সংবাদমাধ্যমে আমার ছবি দেখানো হয়েছে। অফিসের বস কাজে যোগ না দেয়ার জন্য জানিয়ে আমাকে বলেন, আপনি আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, আপনার কারণে আমি সমস্যায় পড়তে চাই না। যদিও তিনি আমার কোনো ব্যাখ্যা শুনতে রাজি হননি।বিয়ে প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তারপর আমার দাদি আমাকে জানান যে, টিভিতে খবর দেখে হবু বউয়ের পরিবার বিয়ে ভেঙে দিতে চেয়েছে। যা আমার সঙ্গে ঘটেছে তাতে আমি নিশ্চিত নই যে, ভবিষ্যতে বিয়ে করতে পারব কি না।উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ে পশ্চিম রেলওয়েতে কর্মরত একটি ট্যুর সংস্থায় গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন কৈলাশ। গত ১৭ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ছত্তিশগড়ের পৈত্রিকবাড়িতে যাওয়ার জন্য। কারণ তার দাদি অসুস্থ। তাছাড়াও এ যাত্রায় কৈলাশের হবু বউয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করারও কথা ছিল। কিন্তু যাত্রা পথে আটক হন কৈলাশ।প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সাইফ আলি খানের বাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্ত। এতে গুরুতর আহত হন বলিউডের ‘নবাব’। ভোররাতে তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। প্রাথমিকভাবে চারজনকে আটক করেছিল মুম্বাই পুলিশ। সর্বশেষ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের বাংলাদেশি এক তরুণকে আটক করে পুলিশ।
Leave a Reply