মোঃ শফিউল আযম,বেড়া :পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের সেচখালে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। চলতি বোরো মওসুমে প্রকল্পের কমান্ড এরিয়ায় ৬ হাজার চাষি বোরো আবাদে সেচ সুবিধা পাচ্ছে। তিনটি ফসল (এক বছর) আবাদের জন্য প্রতিবিঘা জমিতে মাত্র ১৮০ টাকা সার্ভিস চার্জ নিয়ে সেচ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পের সেচ সুবিধাভোগী চাষিদের তিনটি ফসল আবাদের জন্য বিঘাপ্রতি বছরে ১৮০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এতে তাদের ফসল উৎপাদন খরচ পড়ে অনেক কম। অপরদিকে সেচ সুবিধা বঞ্চিত চাষিদের শুধুমাত্র বোরো ফসল উৎপাদনে পাম্প মালিককে সেচ বাবদ বিঘাপ্রতি দিতে হয় চার হাজার টাকা। এতে তাদের ফসল উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪২ কিলোমিটার প্রধান সেচ (পানি সংরক্ষণাগার) খাল, ১৯টি সেকেন্ডারী খাল, ৪৭টি টারশিয়ারী খালের মাধ্যমে বোরোর জমিতে সেচ প্রদান করা হচ্ছে।
বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কমান্ড এরিয়া বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলায় গত বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ১২৫ হেক্টর। চলতি মওসুমে বোরোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার ১৭৫ হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫০ হেক্টর বেশি।
পানি ব্যবহারকারি সমিতির সভাপতি আনছার আলী জানান, প্রকল্পের সেচ সুবিধাভোগী চাষিদের তিনটি ফসল আবাদের জন্য বিঘা প্রতি বছরে ১৮০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এতে ফসল উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
Leave a Reply