Warning: Creating default object from empty value in /home/timesofpabna/public_html/wp-content/themes/BreakingNews Design1/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি, ১৩ বছর পর গ্রেফতার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি, ১৩ বছর পর গ্রেফতার – Times Of Pabna
  1. admin@timesofpabna.com : admin :
  2. ceo@timesofpabna.com : Pabna T : Pabna T
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি, ১৩ বছর পর গ্রেফতার

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতির মিথ্যা পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ১৩ বছর পর তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়েছে।শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরলে স্থলবন্দর এলাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার আগে থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।বিকালে আদালতের মাধ্যমে ওই পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন।প্রতারণার অভিযোগ ওঠা ওই পুলিশ সদস্যের নাম মো. সুমন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন। ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরির জন্য প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন। প্রকৃতপক্ষে, হোসেন মিয়া তার দাদা নন। এই প্রতারণার বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।লিখিত অভিযোগের পর তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মো. সুমন ২০১২ সালের ৩ জুলাই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষার সময় তার প্রতিবেশী হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। পরবর্তী বিধি মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের (ভিআর) পর ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছিলেন।প্রকৃতপক্ষে মো. সুমনের দাখিলকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) তার দাদা নয়। অভিযুক্ত মো. সুমনের দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। সে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়ার নাতি না হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে যাবতীয় বেতন ও রেশনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন।এদিকে, সর্বশেষ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় কর্মরত থাকা কনস্টেবল মো. সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এরপর ২১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Designed By FriliX Group