শফিউল আযম, বেড়া:অসময়ে পাবনার বেড়ায় যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিন দিনের ভাঙনে ৯টি গ্রামের ১৫টি বসতবাড়ী, ২৫ বিঘা ফসলী জমিসহ অসংখ্য গাছ-পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকীর মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্তাপনা।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, যমুনার ভাঙনে বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরনাগদা, হাটাইল, আড়ালিয়া, চরসাড়াশিয়া লেওলাইপাড়া, মাছখালি, মরিচাপাড়া, রাকশা, নতুনবাটিয়াখড়া গ্রামের ১৫ বসতবাড়ি, ২৫ বিঘা ফসলী জমিসহ অসংখ্য গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার ভাঙনের হুমকীতে রয়েছে। অসময়ে ভাঙন দেখা দেয়ায় নদী পাড়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যমুনার পূর্বপ্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি ¯্রােতধারা গতিপথ পরিবর্তন করে সরাসরি পশ্চিম প্রান্তের নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া ও নতুন বাটিয়াখড়া গ্রামে আঘাত করছে। এতে দুটি গ্রামের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাব্যাপী ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানসহ অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকির মধ্যে পড়েছে।
নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া গ্রামের মুফতি শাহ আলম জানান, অসময়ে যমুনায় তীব্র ভাঙনে নদী পাড়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ভাঙনে গত তিন দিনে প্রায় ২৫ বিঘা ফসলী জমি, ১৫টি বসতবাড়ী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু দাউদ বলেন, লওলাইপাড়া গ্রামে ব্যাপক ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বণ্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, ২১ গ্রামের মানুষের একমাত্র লেওলাইপাড়া কবস্থানটিসহ ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার বসতবাড়ি। তিনি বলেন এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়া নির্বাহী প্রকৌশলী এবং পাবনা তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে অবহিত করে কোন প্রতিকার মিলছে না।
এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ হায়দার আলী সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা সরোজমিন পরিদশন করেছি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অব্যহিত করা হয়েছে
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna