হুমায়ুন কবিরঃ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন মাহতাব বিশ্বাস রিয়েল এস্টেট এর ফরিদা টাওয়ারের সামনে এক পথচারী যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এবং লাশটির পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহত মিলন হোসেন (৪০) পাবনা পৌর এলাকার শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস আয়ুব আলী খাঁর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইফতারের আগে মিলন মুজাহিদ ক্লাবে এলাকায় ইফতারি করার উদ্দেশ্যে যায়। হঠাৎ খবর আসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অচেতন অবস্থায় মিলন পড়ে আছে। ঘটনা স্থলে গিয়ে তার লাশ দেখতে পাই। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিলন কে কে বা কাহারা হত্যা করেছে
হাইওয়ে থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন আমরা একটি ফোন কলের মাধ্যমে লাশের বিষয় জানতে পারি এবং সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে আসি এবং বিভৎস অবস্থায় চেহারা বিকৃত হওয়ার কারনে চেনা যাচ্ছিলোনা আমি সাথে সাথে সদর থানাকে অবগত করলে তারা লাশ উদ্ধার করে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে। আসলে এটা হত্যা না এক্সিডেন্ট সেটা তদন্ত করে জানা যাবে।
নিহতের ছোটভাই ওমর ফারুক বলেন আমার বড়ভাই খুবই নম্রভদ্র মানুষ কারো সাথে কোন ঝামেলায় জরাতোনা কেও কিছু বললে তার প্রতিউত্তর করতোনা। এবং কারো সাথে কোন লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলা ছিলোনা। কিন্তু দুইদিন আগে কোন এক মামলার সাক্ষী দিতে কোর্টে গিয়েছিলো কিন্তু সাক্ষী না নিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং কোর্ট থেকে জানানো হয় সামনের মাসে সাক্ষী নেওয়া হবে। আমাদের ধারণা সেই কারনেই পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসন এর নিকট সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
নিহতের আরেক ছোটভাই মোহাম্মদ হারুন বলেন ইফতারের আগ মুহুর্তে আমার সামনে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেবা ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেকট্রনিকস এর সামনে আমার ভাই ফোনে একটা কল আসে কিন্তু কার সাথে কথা হয় জানিনা ভাই আমাকে বলে মোজাহিদ ক্লাব আমার ইফতার এর দাওয়াত আছে বলে বের হয়ে যায়। কিছু সন্ধ্যার পর ভাই এর ফোন থেকে অপরিচিত একজন কল করে বলে এখানে ফোনের মালিকের লাশ পরে আছে আপনারা আসুন। দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাই এর ক্ষতবিক্ষত চেহারা দেখতে পাই। আমরা মনে করি এটা একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, আমরা এর বিচার চাই।
হেফাজত ইসলাম পাবনা জেলা শাখার
যুগ্ম-সম্পাদক আরিফ কাসেমী বলেন এই ছেলেটা অতি সাধারণ ভবে চলাফেরা করে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। কোনদিন কারো সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হতে দেখিনি। আমরা এই ঘটনার সুস্পষ্ট তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ থানার মর্গে রাখা আছে। হত্যা না রোড এক্সিডেন্ট সুরোৎহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত করতে পারবো এবং তদন্ত করে আসল ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply