খালেদ আহমেদ
বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত প্রচন্ড রোদের মধ্যে ঐ স্থানের বিভিন্ন যায়গা ঘুরে ঘুরে দেখান এ কাজে কর্মরত সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড বাহিনীটি।
সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বিন্দুতে ১শ ২১ টি ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে প্রতিদিন নদীটি। মাধপুর থেকে ফকিরপুর ব্রিজ পর্যন্ত ইতোমধ্যে ২৬ কিঃমিঃ খনন সম্পন্ন হয়েছে। নদী কর্মীরা আশা করছেন আগামী সপ্তাহেই ভেকু মেশিন শহরের মধ্যে ঢুকে পরবে এবং সিএস মানচিত্র অনুযায়ী খনন হবে।
তবে উচ্চ আদালতের রায়ের পর নিম্ন আদালতে ৯৮ টি মামলা এখনও চলমান সে বিষয়ে সভাপতি মাহবুব বলেন বেলার প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ২০১৯ সালে প্রথম মামলা করে বিজয় এনে দেন। তিনি এখনও দেখভাল করছেন।
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে আমরা আন্দোলন করে যে স্মারকলিপি পেশ করেছি তারই পরিপ্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন সিনিয়র সচিবকে সত্যতা নিরীক্ষা করতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর আলাদা করে একজন আইনজীবী নিয়োগ করে গেছেন। আশাকরি এ মামলা খুব দ্রুতই নিস্পত্তি হবে ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত ইছামতি নদী খুব শিঘ্রই সম্পুর্ন দৃশ্যমান হবে। পাবনাবাসীর প্রানের দাবি পূরণ হবে।
পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল হাসান রিমন বলেন আমি শুনেছি ইছামতি খনন কাজ চলছে। আজ এসেছিলাম সেটা দেখতে। এসে দেখি খুব জোরেসরে এবং বিশালভাবে এই কার্যক্রম চলছে। আমি পাবনার সন্তান হিসেবে চাই পাবনা শহরের জন্য এই নদীটি আগের ধারা ফিরে পাক। তিনি আশা করেন এই কাজ দ্রুত শেষ হবে এবং পাবনা তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব নদীর কাজ সম্পন্ন হলে যে সুফল আসবে সেগুলো বলেন।
রিভারাইন পিপল পাবনার সভাপতি ড. মনছুর আলম বলেন খুব শিঘ্রই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ইছামতি নদী সম্পন্ন করতে পারবো।
কবি আজিজা পারভীন কাজের অগ্রগতি দেখে খুব আনন্দের সাথে বলেন এখানে দেখতে পাচ্ছি কাজ হচ্ছে, সচ্ছ পানি এসব দেখে আমরা খুবই এক্সাইটেড।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেটেলমেন্ট অফিসার (উপ সচিব) আফরোজা আক্তার, পাবনা জেলা পরিষদের চিফ মাহফুজা সুলতানা, পাবনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সাবেরা সুলতানা আসমানী,
ইমাম গাযযালী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা, দৈনিক স্পষ্টবাদীর সহযোগী সম্পাদক মোঃ শিশির ইসলাম, পাবনা আদর্শ গার্লস হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মে সালমা কোহিনূর, বাংলাদেশ পল্লি চিকিৎসক সমিতি পাবনা জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শফিক আল কামাল, সাংবাদিক হুমায়ুন রাশেদ, দৈনিক স্পষ্টবাদী’র প্রধান ক্যামেরা পার্সন তুহিন আব্দুল্লাহ, দৈনিক সিনসা’র কম্পিউটার অপারেটর সুলতান শেখ, অফিস স্টাফ ফজলে রাব্বি, সিএনএফ টিভি’র চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ প্রমুখ।
Leave a Reply