শফিউল আযম, বেড়া :পাবনার সাথিয়ার ছেচানিয়া গ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে হাইকোট এবং পাবনা জেলা সাবজজ আদালতে মামলা থাকা সত্তে¡ও বিবাদিরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর আসবাবপত্র ভাংচুর শেষে নগদ টাকা ও সোনার অলংকার লুটে নিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক মোঃ নুর হোসেন। এ ব্যাপারে সাথিয়া থানায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী মোঃ নূর হোসেনের পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিবাদীরা অসহায় এই পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ৫টয় মামলার আসামী আলিফ হোসেন বাদীর স্ত্রী ও বোন ফতে খাতুনকে বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। না গেলে এক জনেরও মাথা থাকবে না বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়।
মামলার বিবরণে প্রকাশ আফতারনগর ছেচানিয়া গ্রামের মো. নুর হোসেনের ছেচানিয়া মৌজার সাবেক দাগনং-৫৮৯,আর এস দাগ-৬৮০, ৫০ শতাংশ কাতে ৩২ শতাংশ জমি নিয়ে হাইকোর্ট ও পাবনা সাব জজ আদালতে পৃথক দুটি মামলা চলছে। এ জমিটি মো. নুর হোসেন পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হলেও কয়েকজন মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে মামলার রায়ের তোয়াক্কা না করে ২০ এপ্রিল সকাল ১১ টায় বিবাদী একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে ১৩-১৪ জন লোহার রড লাঠি ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নুর হোসেনের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ এবং জোর করে ২টি টিনের ছাপড়া, চারচালা ১টি ঘর ভাঙ্গচুর করে মাটির সাথে মিশে দেয়। এরপর তারা ঘরের শোকেস, আলমারী টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ সোনার গহনা লুটে নেয়। ভাংচুরকারিরা ফিরে যাবার সময় নুর হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়। এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় আট লাখ টাকা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় অন্যান্য আসামি করা হয়েছে ছেচানিয়া গ্রামের রুহু বক্সের ছেলে এনামুল হোসেন,আনছার আলীর ২ পুত্র রফিকুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলামের ২ পুত্র মো. নয়ন ও চয়ণ হোসেন, মনছের আলীর পুত্র মোঃ কলিমুদ্দিন কালু, মোঃ কলিমুদ্দিনের ২পুত্র মোঃ বাচ্চু মিয়া ও সাচ্চু মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পুত্র মো.রাতুল হোসেন, মো.সোনাইয়ের পুত্র মোঃ নাসির উদ্দিন, আব্দুল গনির পুত্র মোঃ আবু তাহের, মোঃ গাজীউর রহমানের পুত্র ফরিদ হোসেন, রমজান আলীর পুত্র আব্দুর রহিম, আলতাফ হোসেনের পুত্র মোঃ আলিফ হোসেন।
মামলার বাদি মোঃ নুর হোসেন জানান, তার পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিছে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আসামীরা ঘর তুলতে দিচ্ছে না। তিনি পুনঃরায় হামলার আশঙ্কায় মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
মামলার অন্যতম আসামী মোঃ বাচ্চু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। মোবাইর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply