বিশেষ প্রতিনিধি :স্বামীর বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে ভাঙ্গুড়া ইপজেলাজেলা হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুই সন্তানের জননী মুন্নি খাতুন (২৬) নামের এক গৃহবধূ।
পাবনা জেলারভাঙ্গুড়া উপজেলার ঝিকলকতি গ্রামের বাসিন্দা মো. মনতাজ প্রামাণিকের কন্যা মুন্নি খাতুন (২৬ সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় পার্শ্ববর্তি উপজেলা ফরিদপুরের ছোট সাভার দহপাড়া, ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা কৃষক মো. লোকমান হোসেন (৩০)।বর্তমানে ওই দম্পতির সংসারে রয়েছে ২ সন্তান।
বুধবার দুপুরে শ্বশুর মো. আক্তার সরদার কে মাংশের তরকারী পুনরায় গরম করে না দেওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা চরমে পৌঁছায়। মো. লোকমান হোসেন স্ত্রী মুন্নি খাতুন কে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে করতে থাকে । এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. লোকমান হোসেনর বাবা মো. আক্তার সরদার মারধর করার জন্য মহিষ পেটানো লাঠি হাতে দিয়ে মারার অর্ডার দেয়।
মুন্নি খাতুন অভিযোগ করে বলেন , বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর মো. আক্তার সরদার শ্বাশুরী ভাসুর জা এবং মো. লোকমান হোসেন (৩০) আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। মুন্নি খাতুন আরো বলেন,গত বছর আমার ভাসুর আমাকে বেদম মারধর করেছিলো,সেবার কোন অভিযোগ করি নাই ছেলে মেয়ের মুখের দিকে তাকায়ে।
মারধরের ফলে মুন্নি খাতুন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মুন্নি খাতুনের পিতা কে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন এবং মুন্নি খাতুনের পিতা মুন্নি কে নিয়ে নিজ উপজেলা ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে বেলা ১২টার সময় ভর্তি করেন।
মুন্নি খাতুনের শশুরের ফোনে দিলে মুন্নি খাতুনের শ্বাশুরী ফোন রিসিভ করে বলেন ,তরকারী গরম করা নিয়ে একটু গোলমাল হলে ছেলে কয়েকটা বাড়ি দিয়েছে।
বৃহঃবার রাতে মুন্নি খাতুনের পিতা ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ঘটনা পার্শ্ববর্তি থানায় হওয়ায় অভিযোগ দায়ের করতে পারে নাই।
মুন্নি খাতুন এবং মুন্নি খাতুনের পিতা মো. মনতাজ প্রামাণিক এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করে বলেন আমি এর বিচার চাই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক তারা যেন এরকমটা আর না করতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিশির ইসলাম।
নির্বাহী সম্পাদক: সফিক ইসলাম।
বার্তা সম্পাদক মোঃ রাজিব জোয়ার্দ্দার।
Copyright © 2024 Times Of Pabna