স্টাফ রিপোর্টার:
ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির রিসিভম্যান মেহেদী হাসানের আকস্মিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ও মামলা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি দুপুরে অফিসে খাবারের পর মেহেদী হাসান বুকে ব্যথা অনুভব করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা তাকে কোম্পানির মেডিকেল রুমে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বেপজা মেডিকেলে পাঠানো হয়। বেপজা মেডিকেলের চিকিৎসার পর, পরিবারের সদস্যরা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টা ১০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে মেহেদী হাসানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু মহল আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের হয়রানি করতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় কয়েক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সরেজমিন তদন্তে জানা গেছে, মৃত্যুর দিন অফিসে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। মেহেদী অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এমনকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও কোনো পুলিশ কেস নথিভুক্ত হয়নি। আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির একাধিক কর্মী ও কর্মকর্তার দাবি, কিছু মহল মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। হয়রানিমূলক মামলার কারণে নির্দোষ ব্যক্তিরা সমস্যায় পড়ছেন।কোম্পানির পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার তদন্ত করছে এবং দ্রæত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ রপ্তানিমুখী এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরিচালিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় কোম্পানির সুনাম ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
Leave a Reply