টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী। শহরের শিবরামপুর কবিরাজ লেন, নারিকেল বাগান, পাথরতলা, বড় বাজার, মোজাহিদ ক্লাব, শালগাড়িয়া, পার হাউস পাড়া, চক ছাতিয়ানি, আটুয়া চামড়ার আড়ত, দিলালপুর, গোপালপুর, দক্ষিণ রাঘবপুর, কুঠিপাড়া, রাধানগর, যুগীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
এসব এলাকার অনেক পানি বাসা বাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে। ‘সঠিকভাবে’ পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান শহরবাসী। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হাসান রঞ্জন জানান, শুক্রবার সকাল ৬ টায় ৮৬ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে শনিবার আবহাওয়া ভালো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানির কারণে অলি-গলিতে রিকশা ও অটোরিকশা ঢুকতে পারছে না। বাচ্চাদের স্কুলে নিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অভিভাবকরা। চাকরিজীবীরাও অফিসে যেতে দুর্ভেগে পড়ছেন। যাদের বাসায় রান্নাঘর নিচু, পানি ঢোকায় তারা রান্নাও করতে পারছেন না।
শহরের শিবরামপুর কবিরাজ লেন এলাকার মামুন আজিজ বলেন, “শহরের বেশির ভাগ রাস্তা-ঘাট ভাঙাচোরা। তারপর আবার সড়কসহ বাড়ি তলিয়ে গেছে। তাই বৃষ্টিতে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।”
গোপালপুর এলাকার মো. আব্দুস সামাদ জানান, বৃষ্টি হলেই শহরের সড়কগুলো ডুবে যায়, বাসায় পানি ঢুকে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ ও সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না করার কারণে পানি নামতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে করে জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তি বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, “শহরের বেশির ভাগ ড্রেন ময়লা-আর্বজনায় বন্ধ থাকে। যার ফলে অতি বৃষ্টিতে ড্রেনগুলো ডুবে রাস্তায় পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।” হেমায়েতপুর এলাকার শায়খ পল্লব বলেন, “এলাকায় পানি নিষ্কাশনের তেমন কোনো পথ নেই। তাই প্রতিবছর ভারি বৃষ্টি হলে শহরের রাস্তাঘাট ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।”
বৃষ্টি হলে প্রতিবারই স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী হাজারো মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে বাংলা বাজার এলাকার জহুরুল ইসলাম জানান।
Leave a Reply