Warning: Creating default object from empty value in /home/timesofpabna/public_html/wp-content/themes/BreakingNews Design1/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকিতে পরিবেশ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকিতে পরিবেশ – Times Of Pabna
  1. admin@timesofpabna.com : admin :
  2. ceo@timesofpabna.com : Pabna T : Pabna T
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, হুমকিতে পরিবেশ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:ইটের ভাটায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কথা কয়লা। কিন্তু লোক দেখানো কিছু কয়লা ভাটার পাশে রেখে গোপনে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অনেকে আবার খোলামেলাভাবেই তাদের ভাটায় ইট পোড়াতে কাঠ ব্যবহার করছেন। এ দৃশ্য চোখে পড়বে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু ইট ভাটাতে। কালীগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির দেওয়া তথ্য মতে, উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা মোট ১৬টি। এদিকে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এসব কাঠ সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। সরেজমিন উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বলাকান্দোয় অবস্থিত কাজী ব্রিকসে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশকে করছে দূষিত। ভাটাটিতে ইট পোড়ানো চুল্লীর চারপাশ ফেলে রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ কাঠ। কাজী ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী কাজী মনিরুজ্জামানের সঙ্গে কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কয়লা দিয়েই ইট পোড়ায়। খড়ি দিয়ে শুরু করেছি মাত্র। এ রাউন্ড শেষে কয়লা দিয়ে পোড়াবো। পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র ব্যতীত সব কাগজপত্রই আমার ইট ভাটায় আছে। আপনার ইটভাটা বৈধ কিনা জানতে চাইলে, কালীগঞ্জের ইটভাটা কোনটাই বৈধ নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বন ধ্বংস করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো সমিতি সমর্থন করে না। এরই মধ্যে ভাটার মালিকদের ডেকে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। কালীগঞ্জে বৈধ ইট ভাটার সংখ্যা কতটি জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।কালীগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন চুন্নু
ইটভাটা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বর্তমানে এক টন কয়লার দাম ১৭ থেকে ১৯ হাজার টাকা। অপরদিকে, এক মণ খড়ির দাম মাত্র ১৬০ টাকা। একটি ইটের ভাটায় ১ লাখ পরিমাণ ইট পোড়াতে ১৬ টন কয়লার প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কয়লা দিয়ে এক লাখ ইট পোড়াতে খরচ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। অপরদিকে, একই পরিমাণ ইট কাঠ দিয়ে পোড়াতে ১৬০০ মণ কাঠের প্রয়োজন হয়। এতে খরচ হয় ২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ালে ১ লাখ ইটের জ্বালানি খরচ সাশ্রয় হয় মাত্র ১৬ হাজার টাকা। আর প্রথম শ্রেণির ১ লাখ ইটের বিক্রয় মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু ইট পোড়াতে সামান্য এই অর্থ সাশ্রয় করতে যেয়ে অসামান্য ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। আবার প্রতিটি ভাটায় ইট পোড়াতে ২৪ ঘণ্টায় সাত থেকে আট টন কাঠের প্রয়োজন। এসব কাঠের অধিকাংশই আসছে স্থানীয়  ব্যক্তিমালিকানাধীন বন থেকে। অথচ জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো নিষিদ্ধ। এরপরও অবাধে চলছে এ কাজ। আর এসব দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের তারা যেন সবকিছু দেখেও কিছুই দেখছেন না। যদিও ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার বেআইনি। তবুও অবৈধ ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। ইটভাটা মালিকগণ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে এসব চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Designed By FriliX Group