বিশেষ প্রতিবেদকঃ ২০০২ সালে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া আসরের ২০ বছর পর কাতার দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক তকমা ফিরেছিল এশিয়াতে। এবার এতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ফের ১২ বছরের ব্যবধানে আবারও বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে এশিয়ায়। ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক সৌদি আরব। মুসলিম দেশ ও নিজেদের আলাদা সাংস্কৃতিক আবহ থাকায় আসরজুড়ে সেবার মদ্যপান ও অ্যালকোহল নিষিদ্ধ থাকবে। এলবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ইংল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার।
শুধু মাঠেই নয়, ফ্যান জোন কিংবা হোটেলেও মদ্যপান থাকবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। খালিদ বিন বান্দার বলেন, এই মুহূর্তে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। অ্যালকোহল ছাড়া অনেকভাবে মজা করা যায়। এটা শতভাগ জরুরি নয়, তবে পান করতে চাইলে সেটা সৌদি আরব ছাড়ার পর। সবারই নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমরা নিজস্ব সাংস্কৃতিক গন্ডির মধ্যে থেকে সবাইকে স্বাগত জানাতে চাই। কারও জন্য নিজেদের সংস্কৃতি পাল্টাতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপ দেখতে যারা সৌদি আরবে যাবেন, তাদের উচিত আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করা। বিশ্বকাপ চলাকালীন সৌদি আরবের কোথাও মদ বিক্রি করা হবে না, এমনকি হোটেলেও না।
মানবাধিকার ও সমকামিতা ইস্যুতে বেশ কৌশলি উত্তর দেন প্রিন্স খালিদ। বলেন, সৌদিতে আমরা সবাইকে বরণ করে নেব। এটা সৌদির নিজস্ব কোন আসর নয়, এটা বৈশ্বিক আসর। যারা আসতে চান তাদেরকে বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বরণ করে নেয়া হবে।
এর আগে কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। তবে হোটেল ও নির্দিষ্ট ফ্যান জোন ছিলো সেই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত। সৌদি বিশ্বকাপে মিলবে না সেই সুবিধাও। মদ্যপান করতে হলে ছাড়তে হবে দেশ, পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডে নিযুক্ত সৌদি এই রাষ্ট্রদূত।
উল্লেখ্য, ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সৌদি আরবের। যার পুরোটাকেই স্পোর্টসওয়াশিং, এমনটাই দাবি পশ্চিমাদের। যদিও প্রো লিগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোসহ বিশ্বের তারকা ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে শিথিল করা হয় বেশ কিছু আইন।
Leave a Reply