বিশেষ প্রতিনিধিঃ আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ এর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম রুমনের বাড়িতে দিনে দুপুরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। ওই ভবনের তিনতলায় বসবাস করেন রুমন ও তাঁর পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রুমনের শালগাড়িয়া শাপলা প্লাস্টিক মোড়ে অবস্থিত নিজ বাড়িতে আনুমানিক বারোটা থেকে সারে বারোটার মাঝে এমন ঘটনা ঘটে এ সময় অজ্ঞাত কিছু মানুষ মেইন গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আলমারি, ওয়ারড্রব এর ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণালংকার সহ অন্যান্য মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে রেখে যায়। গত ৫ আগষ্টের আন্দোলনে বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় রুমন ও তার পরিবার দীর্ঘদিন বাসায় না থাকায় ফাকা বাসা পেয়ে এবং আসেপাশের প্রতিবেশীরা জুমার নামাজে যাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
বিল্ডিং এর অন্যান্য ফ্লাটে বসবাস করা আত্মীয়দের সাথে কথা বললে তারা টাইমস অব পাবনা কে বলেন আমরা বাহিরে ছিলাম আমার খালা নিচতলায় থাকে উনি চারতলায় গোসলে গেলে ফিরে এসে দেখে দরজার তালা কাটা ও ভেতরে সবকিছু লন্ডভন্ড তখন আমাদের ডাক দিলে আমরা বাসায় এসে এই চিত্র দেখতে পাই। তারা বলেন অল্প সময়ে সংঘটিত হলেও ধারণা করছি তারা একটি সংঘবদ্ধ টিম সকল প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলো আমরা বাসায় থাকলে বা সামনে পরলে হয়তো প্রাণনাশের আশংকাও ছিলো। আমরা খুব আতঙ্কের মাঝে আছি আমাদের জানমালের নিরাপত্তা কোথায় এটা নিয়েই শঙ্কিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিৎ দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ। তা না হলে এটার পুনরাবৃত্তি হবে এবং সেইসাথে আমাদের প্রাণনাশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা প্রশাসন এর সহযোগিতা কামনা করছি। এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন পাবনা শহরে প্রায় প্রতিদিনই হরহামেশাই চুরি ছিনতাই সংঘটিত হলেও অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে তাদের আইনের আওতায় আনা না হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা চাই প্রশাসন এ সকল অপরাধ কঠোর ভাবে দমন করুক। যেন কেউ অন্যায় করতে সাহস না পায়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানা ওসি মুঠোফোনে টাইমস অব পাবনা জানান ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা কোন কিছু জানায়নি আমি খবর পেয়ে এসআই ফাহিম কে টিমসহ পাঠাই তারা গিয়ে দেখতে পায় বাসার সিসি ক্যামেরা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় কোন ফুটেজ পাওয়া সম্ভব হয়নি যতদূর বুঝলাম এটাকে আসলে ডাকাতি বলা যায়না। ধারণা করছি রাস্তায় নেশাখোর জাতীয় লোকজন বাড়ির তালা কেটে অল্প সময়ের মাঝে ঘটনা ঘটাতে পারে। উনি আরো বলেন গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কে কেন্দ্র করে রুমন বিস্ফোরক মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন পলাতকরয়েছে। এতদিন বাসায় না থাকলে কি এত টাকা পয়সা থাকার কথা! তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলতে পারবো। সেইসাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা সবসময় জনগনের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় জোরদারে কাজ করছি।
Leave a Reply