পাবনা প্রতিনিধি
ঈশ্বরদীর মধ্য শহরে মুক্তা জুয়েলার্সে চুরির দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চোর চক্রকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে অপরাধীরা, যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুক্তা জুয়েলার্সসহ পাশাপাশি তিনটি জুয়েলারি দোকানে একসঙ্গে চুরি হয়। চোরেরা দোকানের পেছনের টিন কেটে লোহার কপাট সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে এবং দোকানে সাজানো সমস্ত স্বর্ণ ও রুপা চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুক্তা জুয়েলার্সের মালিক দুলাল চন্দ্র কর্মকার জানান,
“সকালে দোকান খুলে দেখি, পিছনের টিন কাটা এবং দোকানে থাকা সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়ে গেছে। আমার দোকান থেকে প্রায় ৪০ ভরি সোনা ও রুপা, আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার সম্পদ চুরি হয়েছে। চোরেরা যাওয়ার আগে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ করে দেয়।”
একই রাতে মুক্তা জুয়েলার্সের পাশাপাশি চৈতি জুয়েলার্স ও তাকওয়া জুয়েলার্স থেকেও চুরি হয়।
চৈতি জুয়েলার্সের মালিক স্বপন কর্মকার বলেন,
“সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুক্তা জুয়েলার্সের। এত বড় চুরির ঘটনা ঘটলেও এখনো অপরাধীরা ধরা পড়েনি। আমরা দ্রুত তদন্ত ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন,
“সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে। চোর চক্রকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই তাদের শনাক্ত করতে পারবো।”
তবে চুরির দুই মাস পার হলেও এখনো কোনো অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
Leave a Reply